ইতিহাসের জনক কে : আপনি কি জানেন কাকে ইতিহাসের জনক বলা হয় অর্থাৎ ইতিহাসের জনক কে এবং তার নাম কি? আপনি যদি ইতিহাসের জনক সম্পর্কে না জানেন তবে এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
ইতিহাস হল সমাজ বিজ্ঞানের সেই বিষয় যেখানে একটি দেশ, সমাজ এবং মানুষের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এটি এমন একটি বিষয় যা আপনাকে অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তথ্য দেয়।
ইতিহাস শব্দের ব্যবহার প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখা যায়। কিন্তু ইতিহাসের অর্থ কী এবং এর জনক কে? (ইতিহাস কা জনক) সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন।
সেজন্য এই নিবন্ধে কাকে ইতিহাসের জনক বলা হয় (ইতিহাসের জনক কে) এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিজ্ঞানী এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান কী? অন্যান্য বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ইতিহাসের জনক কে?
হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক বলা হয় যিনি প্রথম ‘ইতিহাস’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। তাঁর “হিস্টোরিকা” বইয়ের সাহায্যে তিনি ইতিহাস রচনার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন এবং বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হয়েছিলেন যাকে আপনি ইতিহাসের জনক হিসাবে জানেন।
“ইতিহাস” কে ইংরেজিতে “History” বলা হয়, যা হেরোডোটাস সর্বপ্রথম ‘History’ শব্দটি ব্যবহার করে বিশ্বকে বলেছিলেন।
হেরোডোটাস (ইতিহাসের জনক)
হেরোডোটাসকে সাধারণত ইতিহাসের জনক বলা হয় যিনি প্রথম বিশ্বকে “ইতিহাস” শব্দটি সম্পর্কে বলেছিলেন। তিনি ছিলেন গ্রীসের প্রথম ঐতিহাসিক ও ভূগোলবিদ, যার সংস্কৃত নাম ছিল হরিদত্ত, যিনি আসলে একজন মেড ছিলেন।
এই কারণেই তিনি আর্যদের ইতিহাসের উপর ক্রমাগত নজর রাখতেন। তাঁর কারণেই পারসের মেদ আর্য রাজাদের প্রকৃত ইতিহাস জানা যায়। হেরোডোটাস “পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধ”কে ইতিহাসের বিষয়বস্তু করে তোলেন এবং তার “হিস্টোরিকা” বইয়ের সাহায্যে ইতিহাস রচনার ভিত্তি স্থাপন করেন। তিনি বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি ইতিহাস সম্পর্কে তার মতামত দিয়েছেন, তাই তাকে “ইতিহাসের জনক” বলা হয়।
নাম | হেরোডোটাস |
জন্ম | 484 খ্রিস্টপূর্বাব্দ |
মৃত্যু | 425 B.C.E. |
বাসস্থান | সমোসা |
জাতপাত | গ্রীক, ক্যারিয়ান |
ব্যবসা | ইতিহাসবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক |
বই | ঐতিহাসিক |
শনাক্তকরণ | ইতিহাসের জনক |
ইতিহাস জানা জরুরী কেন?
আগের তুলনায়, ইতিহাস অধ্যয়নের অর্থ অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়েছে। এটি কেবল অতীতের অধ্যয়ন নয়, বর্তমান এবং অতীতের মধ্যে একটি সংলাপ স্থাপনের প্রচেষ্টা। এটি জানা আমাদের অতীতের পাশাপাশি বর্তমান সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা দেয় এবং ভবিষ্যতের দিকেও ইঙ্গিত দেয়।
তাই আজকের সময়ে ইতিহাস জানা সবার জন্য খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এটি সঠিকভাবে অধ্যয়ন করে, ভবিষ্যতের সময়কে উন্নত করা যায় এবং বর্তমানকে সঠিকভাবে বাঁচানো যায়। এছাড়া ইতিহাস পড়ার অনেক সুবিধা রয়েছে যা জানার পর আপনি জানতে পারবেন।
ইতিহাস কে সৃষ্টি করেছে?
ইতিহাস কেউ তৈরি করেনি, তবে এটি প্রথম গ্রীক ইতিহাসবিদ এবং ভূগোলবিদ “হেরোডোটাস” তার “হিস্টোরিকা” বইতে প্রথম বলেছিলেন, তাই তাকে ইতিহাসের জনক (ইতিহাস কে পিটা) বলা হয়।
ইতিহাসের অর্থ সাধারণত “যা অতিবাহিত হয়েছে” হিসাবে পরিচিত, অর্থাৎ অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা যা মানুষ বর্তমান এবং ভবিষ্যতে জানতে চলেছে। উদাহরণস্বরূপ, আজও আমরা সিন্ধু সভ্যতা সম্পর্কে পড়ি এবং বুঝতে পারি যা প্রায় 8000 বছরের পুরনো।
হেরোডোটাসকে কেন ইতিহাসের জনক বলা হয়?
হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক বলা হয় কারণ তিনি সর্বপ্রথম তার হিস্টোরিকা গ্রন্থে “ইতিহাস” সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি ইতিহাসকে একটি পৃথক বিষয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এটিকে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, মানব ক্রিয়াকলাপের চিহ্নিতকরণ (মানব বিজ্ঞান), সমালোচনামূলক বিজ্ঞান, যুক্তিবাদী ইত্যাদি হিসাবে বর্ণনা করেন।
আধুনিক ইতিহাসের জনক কে?
ভলতেয়ারকে আধুনিক ইতিহাস রচনার জনক বলা হয়। আধুনিক যুগে সংঘটিত ঘটনাগুলি সম্পর্কে জানাকে বলা হয় আধুনিক ইতিহাস, যার সম্পর্কে ভলতেয়ার প্রথম বলেছিলেন, তাই তাকে আধুনিক ইতিহাসের জনক বলা হয়।
উপসংহার
আশা করি ইতিহাসের জনক কে এই নিবন্ধটি আপনার পছন্দ হয়েছে, যদি আপনি এই তথ্যগুলি পছন্দ করেন তবে আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করুন।