কৃশ শব্দের অর্থ কি?

কৃশ শব্দের অর্থ কি: বাংলা ভাষায় শব্দের মহলে অনেক ভিন্ন ধরণের শব্দ ব্যবহৃত হয়। এই মধ্যে “কৃশ” শব্দটি একটি অদ্যাতন শব্দ। এটি প্রায়ই জনপ্রিয়তার অভাবে বিপণন করা হয়েছে এমন একটি শব্দ। এই ব্লগে আমরা “কৃশ” শব্দের অর্থ ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করব।

কৃশ শব্দের অর্থ কি?

কৃশ শব্দের অর্থ কি

কৃশ” শব্দের প্রাথমিক অর্থ হলো কাঠের মতো পাতলা বা দুর্বল অবস্থায় থাকা। বাংলা ভাষায় এটি প্রায়শই অল্পসঙ্খ্যানে ব্যবহৃত হয় ও অপব্যবহৃত হয়। এই শব্দের আরেকটি অর্থ হলো খাদ্যের অভাব বা সাধারণত কম পরিমাণের খাদ্য পান করা। উদাহরণস্বরূপ, “তার আরো কৃশ থাকলে তিনি নিজেকে ভালো মনে করতেন না।”

সাধারণত “কৃশ” শব্দের ব্যাপক ব্যবহার নেই কারণ এটি বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে একটি অপব্যবহৃত শব্দ। তবে, কিছু অনুচ্ছেদ ও রচনায় এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও এটি বাংলা সাহিত্যের মধ্যে সময়কে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন- “কৃশকাল” বা বিপন্নতার সময়, “কৃশতা” বা ক্ষীণতা, এমনকি কিছু গদ্য কবিতায় এই শব্দটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয়েছে।

এছাড়াও “কৃশ” শব্দের অর্থ নিয়ে অনেক নোয়াখালীগুলো সমস্যায় পড়ে। নোয়াখালী জেলায় এই শব্দটি প্রচলিত হয় কারণ এই জেলার অর্থ হলো “কৃশ দলিল” বা “অদৃশ্য দলিল”। এই নোয়াখালী বিভাগের মানুষেরা বিভিন্ন সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কাজে এই শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ, কুষ্টিয়া সাহিত্যিক সম্মেলনের মাধ্যমে নোয়াখালীগুলো তাদের পশ্চিমবঙ্গীয় ভাইয়ের কাছে এই শব্দটির অর্থ প্রকাশ করেছে।

অতএব, “কৃশ” শব্দের প্রাথমিক অর্থ হলো কাঠের মতো পাতলা বা দুর্বল অবস্থায় থাকা, খাদ্যের অভাব বা কম পরিমাণের খাদ্য পান করা ইত্যাদি। তবে এটি বাংলা ভাষায় অপব্যবহৃত ও অদৃশ্য শব্দ হিসাবে পরিচিত হয়েছে। এই শব্দটি সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসে। নোয়াখালী জেলার মানুষেরা এই শব্দটি প্রচলিত রাখার মাধ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক উপস্থাপনায় নিজেদের নির্দেশ করে থাকেন।

এটা পরিবারের সবচেয়ে মন্দ সদস্য। সে মাত্রই একজন কম খেয়ে সবসময় কৃশ। কেউ এমন বলে না যে সে বেশি খায় না বা কিছু খাওয়ার অভাবে আছে। এই কৃশ অবস্থা হল সেটির স্বাভাবিক অবস্থা। অনেক সময় এই কৃশ অবস্থায় থাকার কারণে সে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে। তাই আপনার যদি কেউ বলে যে, “আমি কৃশ অবস্থায় আছি,” তবে সেটি অনেকটা আপনার সুস্থতা পর্যবেক্ষণ করার নেতৃত্ব করছে।

আরও একটি অর্থ হলো ক্ষীণতা বা কমতি। মানসিক এবং ভাবনামূলক সমস্যার কারণে কাউকে আপনাকে অসম্পূর্ণ বা কৃশ মনে হতে পারে। কৃশতা একটি বহুমুখী অসুস্থতার প্রতীক হতে পারে, যা অনেক বিভিন্ন উপায়ে কাউকে প্রভাবিত করতে পারে। মানসিক অসুস্থতা, দুঃখ, মারাত্মক চিন্তা, পরিবারের সমস্যা, আর্থিক সমস্যা ইত্যাদি কিছু কারণ হতে পারে এমন কৃশতার।

বাংলা সাহিত্যে এই শব্দটি অনেক ব্যবহৃত হয়েছে কৃশ মনোবিজ্ঞান ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গদ্য লেখা, উপন্যাস, কবিতা ইত্যাদি রচনায়। এই শব্দটি প্রতিষ্ঠিত এবং গভীর ভাবনামূলক অর্থ বোঝানোর জন্য এই ধরণের সাহিত্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।

সুতরাং, “কৃশ” শব্দের ব্যাপক অর্থ বলতে পারা যায় যে এটি পাতলা, দুর্বল বা কমতি অবস্থায় থাকার অর্থ প্রকাশ করে। এছাড়াও এটি অপব্যবহৃত ও অদৃশ্য শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এই শব্দটি নোয়াখালীগুলোর মাধ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক উপস্থাপনায় প্রয়োজনীয় নির্দেশ করে থাকে। এটি আমাদের সমস্ত মানসিক ও ভাবনামূলক অসুস্থতা ও ক্ষীণতার সম্পর্কে আমাদের জাগরুকতা জাগানোর জন্য একটি প্রভাবশালী শব্দ।

উপসংহার

আশা করি কৃশ শব্দের অর্থ কি এই নিবন্ধটি আপনার পছন্দ হয়েছে, যদি আপনি এই তথ্যগুলি পছন্দ করেন তবে আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করুন।

Leave a Comment