পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম: একটি পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলির মধ্যে একটি, এবং এটি ধারকের জন্য পরিচয় এবং নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে কাজ করে। বাংলাদেশে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট বিভাগ দ্বারা পাসপোর্ট জারি করা হয়। বিদেশ ভ্রমণের আগে আপনার পাসপোর্ট বৈধ এবং আপ-টু-ডেট কিনা তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধে, আমরা বাংলাদেশে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব।
পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- বৈধতা: পাসপোর্ট চেক করার প্রথম এবং প্রধান নিয়ম হল এর বৈধতা নিশ্চিত করা। একটি বাংলাদেশী পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ থেকে 10 বছরের জন্য বৈধ। যাইহোক, যদি পাসপোর্ট ধারকের বয়স 15 বছরের কম হয় তবে পাসপোর্টটি শুধুমাত্র 5 বছরের জন্য বৈধ। আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের কাছাকাছি হলে, ভ্রমণের আগে আপনাকে অবশ্যই এটি নবায়ন করতে হবে।
- ক্ষতি: পাসপোর্ট চেক করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল এটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা। পাসপোর্টের কোনো ক্ষতি, যেমন ছেঁড়া পাতা বা জলের ক্ষতি, এটি ভ্রমণের জন্য অবৈধ করে দিতে পারে। আপনার পাসপোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ভ্রমণের আগে আপনাকে অবশ্যই একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।
- তথ্য: আপনার পাসপোর্টের তথ্য আপনার ভ্রমণ নথির তথ্যের সাথে মিলতে হবে। এর মধ্যে আপনার নাম, জন্ম তারিখ এবং জাতীয়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদি কোনো অসঙ্গতি থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
- ভিসার প্রয়োজনীয়তা: আপনার গন্তব্য দেশের উপর নির্ভর করে, প্রবেশের জন্য আপনার ভিসার প্রয়োজন হতে পারে। আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার পাসপোর্ট আপনার গন্তব্য দেশের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করছে। কিছু দেশে আপনার পাসপোর্ট আপনার পরিকল্পিত থাকার বাইরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈধ হতে হবে। আপনার ভ্রমণের আগে আপনার গন্তব্য দেশের ভিসার প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা করা উচিত।
- ফাঁকা পৃষ্ঠা: অনেক দেশে আপনার পাসপোর্টে প্রবেশ এবং প্রস্থান স্ট্যাম্পের জন্য কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে। ভ্রমণের আগে আপনার পাসপোর্টের ফাঁকা পৃষ্ঠাগুলি পরীক্ষা করা উচিত এবং নিশ্চিত করা উচিত যে আপনার ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট আছে।
- ছবি: আপনার পাসপোর্ট ফটো সাম্প্রতিক হতে হবে এবং পাসপোর্ট অফিসের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। ফটোটি রঙিন হওয়া উচিত, একটি সরল পটভূমি সহ, এবং আপনার মুখ পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হওয়া উচিত। আপনার ছবি প্রয়োজনীয়তা পূরণ না হলে, আপনার পাসপোর্ট আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে.
- স্বাক্ষর: ভ্রমণের আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার পাসপোর্টে স্বাক্ষর করতে হবে। এই স্বাক্ষরটি আপনার ভ্রমণ নথিতে থাকা স্বাক্ষরের সাথে মিলিত হওয়া উচিত। আপনি যদি আপনার স্বাক্ষর পরিবর্তন করে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।
- শিশু: আপনি যদি বাচ্চাদের সাথে ভ্রমণ করেন তবে আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের নিজস্ব পাসপোর্ট আছে। পিতামাতার পাসপোর্টে সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। উপরন্তু, শিশুদের পাসপোর্ট শুধুমাত্র 5 বছরের জন্য বৈধ, তাদের বয়স নির্বিশেষে।
- হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া পাসপোর্ট: ভ্রমণের সময় যদি আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই তা অবিলম্বে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং নিকটস্থ বাংলাদেশী দূতাবাস বা কনস্যুলেটে জানাতে হবে। আপনি বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার আগে আপনাকে একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।
উপসংহার
আশা করি পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম এই নিবন্ধটি আপনার পছন্দ হয়েছে, যদি আপনি এই তথ্যগুলি পছন্দ করেন তবে আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করুন।